মিলাদ ও কেয়াম সম্পর্কে মক্কা – মদিনার প্রাচীন ফতোয়া
মিলাদ ও কেয়াম সম্পর্কে মক্কা – মদিনার প্রাচীন ফতোয়া
Sb787bd / 9 years
0
1 min read
মিলাদ ও কেয়াম সম্পর্কে মক্কা –
মদিনার প্রাচীন ফতোয়া
আল্লামা আব্দুর রহীম তুর্কমানী (রহঃ) ১২৮৮ হিজরী সনে মক্কা ও মদিনা এবং জেদ্দাহ ও হাদিদার উলামায়ে কেরামের দ্বারা মিলাদ ও কিয়াম সম্পর্কে একটি ফতোয়া লিখিয়ে হিন্দুস্তানে নিয়ে আসেন এবং নিজ গ্রন্থ ” রাওয়াতুন নাঈম ” -এর শেষাংশে ছেপে প্রকাশ করেন ।
( আনওয়ারে ছাতেয়া দেখুন )
প্রশ্নঃ আল্লাহ তায়ালা অসীম রহমত আপনার উপর বর্ষিত হোক । নিম্নে বর্নিত বিষয়ে আপনার অভিমত ও ফতোয়া কি ?
” মিলাদ শরীফ পাঠ করা – বিশেষ করে নবী করিম সাল্লাল্লাহয় আলাইহে ওয়াসাল্লামের পবিত্র জন্ম বৃত্তান্ত পাঠকালে কিয়াম করে সম্মান প্রদর্শন করা , মিলাদের জন্য দিন তারিখ নিদিষ্ট করা , মিলাদ মজলিস কে সাজানো , আতর গোলাপ ও খুশবু ব্যাভার করা। কুরআন শরীফ হতে সুরা ক্বেরাত পাঠ করা এবং মুসলমানদের জন্য খানাপিনা (তাবারুক) তৈরি করা – এই ভাবে অনুষ্ঠান করা জায়েয কিনা এবং অনুষ্ঠানকারীগন এতো সাওয়াবের অধিকারী হবেন কিনা ? বর্ণনা করে আল্লাহর পক্ষ হতে পুরস্কৃত হোন ।
– আব্দুর রহীম তুর্কমানী – হিন্দুস্তান ,১২৮৮ হিজরি ।
মক্কা শরীফের ফতোয়াদাতাগনের জবাব ও ফতোয়া ।
অনুবাদঃ ” জনে নিন – উপরে বর্নিত নিয়মে (কিয়াম) মিলাদ শরীফের অনুষ্ঠান করা মোস্তাহসান ও মুস্তাহাব । আল্লাহ ও সমস্ত মুসলমানের নিকট ইহা উত্তম । ইহার অস্বীকারকারীগন বিদআতপন্থী ও গোমরাহ্ । হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্নিত হুজুর (দঃ) -এর হাদিস আছে –
” মুসলমান যে কাজকে পছন্দনীয় বলে বিবেচনা করেন -তা আল্লাহর নিকট ও পছন্দনীয় “।
( মুসলিম )।
এখানে মুসলমান বলতে ঐ সমস্ত মুসলমানকে বুঝায়-যারা কামেল মুসলমান । যেমন পরিপুর্ন আমলকারী উলামা , বিশেষ করে আরবেরদেশ , মিশর , সিরিয়া ,তুরস্ক ও স্পেন-ইত্যাদি দেশের উলামাগন সলফে সালেহীনদের যুগ থেকে অদ্যবধি (১২৮৮ হিঃ)
সকলেই মিলাদ কেয়াম কে মুস্তাহসান, উত্তম ও পছন্দনীয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন । সর্বযুগের উলামাগনের স্বীকৃতির কারনে মিলাদও কিয়ামের বিষয় বরহক ।
উহা গোমরাহী হতে পারে না । নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন । ” আমার উম্মত গোমরাহ বিষয়ে একমত হতে পারে না ” ( আল হাদিস )
সুতরাং যারা মিলাদ ও কিয়াম কে অস্বিকার করবে-শরিয়তের বিচারকের উপর তাদের যথাযথ শাস্তি প্রদান করা ওয়াজিব । ( ফতুয়া সমাপ্ত )
মিলাদ ও কেয়ামের উপরে সর্বকালের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসমান ও মুফতী ওলামাগনের ইজমা বা ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এই ইজমা বিরূদ্ধে হাল যামানায় নজদী ।ওয়াহাবী ও দেওবন্দী ওহাবী রা আপত্তি তুলেছে । তাদের দেখাদেখি মউদুদি এবং তাবলিগীরাও আপত্তি করেছে । ইসলামি আইনের দৃষ্টিতে ইজমার খেলাফ কথা বলে -তাদের বিদআতী ,গোমরাহ ও বিপথগামী বলা হয় । এডের অনুসরণ করলে গোমরাহ্ হয়ে যাবে ।
পরিশেষে আরয করবো – আমরা যেন প্রতারকেদের খপ্পরে না পড়ি । আমরা যেন নবী , ওলী, সলফ সালেহীন , আইম্মায়ে মোজতাহেদীন, পীর মাশায়েখ এবং মক্কা মদিনার অতিতের মুফতিয়ানে কেরামের পথে ও মতে চলতে পারী । আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত নসীব করূন এবং নবীজীর মুহাব্বত দান করূন । আমিন ।